কুতুবদিয়ায় বদলে গেছে পরিবার পরিকল্পনার সেবা কার্যক্রম

কক্সবাজার প্রতিনিধি ◑
দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বদলে গেছে পরিবার পরিকল্পনা সেবার কার্যক্রম। বর্তমান করোনা মহামারির মাঝেও এই দ্বীপ উপজেলায় থেমে নেই পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সেবা।

নারীদের স্বাস্থ্যসেবা ও বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে পরিবার পরিকলপনা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত ছুটছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেবাপ্রার্থীদের কাছে। সবমিলিয়ে পাল্টে গেছে কুতুবদিয়া উপজেলার পরিবার পরিকল্পনার চিত্র।

বিশেষ করে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্ব বিধান কান্তি রুদ্র নেয়ার পর থেকে বদলে যায় পরিবার পরিকল্পনার চিত্র। আর পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে জন্মনিয়ন্ত্রণে দেশকে আরও এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করছেন কুতুবদিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা যায়-বিগত ৪ বছর ধরে সততা আর দক্ষতার সাথে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন বিধান কান্তি রুদ্র। এরপর তিনি চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে বদলী হন।

বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গত ৬ মাস ধরে আবারও কুতুবদিয়া উপজেলার চলতি দায়িত্ব পান। এই দায়িত্ব নিয়ে তিনি দ্বীপ উপজেলার মানুষের মাঝে পরিবার পরিকল্পনা সেবা পৌঁছে কাজ যাচ্ছেন।

সপ্তাহে ২ দিন কুতুবদিয়ায় এবং সপ্তাহের বাকী দিনগুলো তিনি মূল কর্মস্থল চকরিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন। কুতুবদিয়ায় তিনি দায়িত্ব পালনকালে গত এক বছরে অন্তত ২ হাজার সেবাপ্রার্থীর মাঝে ইমপ্ল্যাট পদ্ধতি সেবা দিয়েছেন। পাশাপাশি ৪৪২ জন গর্ভবর্তী মহিলাকে ডেলিভারী সেবা দিয়েছেন।

তাছাড়া অন্যান্য পদ্ধতিতে সেবা দেয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজারের মত সেবাপ্রার্থীকে। যা জেলার মধ্যে সবোর্চ্চ। সব মিলিয়ে ভাল কার্যক্রমের কারণে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে সেবা গ্রহণকারী কুলসুমা বেগম বলেন-আমার দুটি সন্তান। ১০ বছরের কপাটি পদ্ধতি গ্রহণ করেছি। এতে কোনো টাকা দিতে হয়নি বরং তারা আমাকে টাকা দিয়েছে। আমি এখন সুখে আছি।

একই ভাবে আয়েশা বেগম নামের আরেক সেবাগ্রহণকারী মহিলা বলেন-আমার গর্ভাবস্থায় পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের সেবা প্রদানকারীরা প্রায় প্রতিদিনই খোঁজখবর নিয়েছেন। তাদের পরামর্শ শোনায় আমার নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। সিজার করতে হয়নি। আমার এক ছেলে। আমি স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করে এখন ভালো আছি।

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) বিধান কান্তি রুদ্র বলেন-আমি মানুষের সেবা দেয়ার মন মানসিকতা নিয়ে কাজ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।

তাই দ্বীপ উপজেলার নারীদের পদ্ধতি গ্রহণের ওপর কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আগামী ২০ জুন থেকে ৭ দিন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে বিশেষ ক্যাম্পের অায়োজন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।